লন্ডনে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, যা বললেন নাজমুল আলম 


নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
লন্ডনে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, যা বললেন নাজমুল আলম 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের লন্ডনে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু নাজমুল আলম তা অস্বীকার করেছেন। 

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নামে ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির এক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যানেজমেন্ট, পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে তিনি সরে গেছেন। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির একক পরিচালক ও আরো তিনটি কোম্পানির যৌথ পরিচালক হিসেবে তিনি রয়েছেন। 

এছাড়া পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিট রোডে “নাজ ইউকেবিডি প্রোপারটিজ” নামের আবাসন ব্যবসার একক পরিচালক তিনি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, “নাজ ইউকেবিডি প্রোপারটিজ” প্রতিষ্ঠানের মূলধন দেখানো হয়েছে আটশো উনপঞ্চাশ হাজার পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় ১০ কোটি টাকার সমমান। কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ১০ জুলাই ব্রিটিশ সরকারের কোম্পানি হাউজে ১১৪৫৮১৯৯ এই নাম্বারে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।  রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যবসার ধরন হিসেবে চারটি বিষয় উল্লেখ করা হয়: নিজস্ব প্রপার্টি কেনাবেচা, লিজ অথবা নিজস্ব প্রপার্টি ভাড়া দেয়া ও পরিচালনা করা, রিয়েল এস্টেট এজেন্সি এবং চুক্তির অথবা ফি এর মাধ্যমে প্রপার্টি পরিচালনা করা।

প্রতিবেদনে নাজমুলের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে নাজমুল যুক্তরাজ্যে ইনভেস্টর ভিসায় রয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। এই ইনভেস্টর ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের আইনে বলা আছে,  ন্যূনতম ২শ’ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটির বেশি  বিনিয়োগ করতে হবে।

এদিকে, এ বিষয়ে সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার নামে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে এটা সত্য, কিন্তু রিপোর্টে আমার কোম্পানির নামে যে টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। তিনি বলেন, তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি মানহানির মামলা করবেন। 

নাজমুল আলমের বিষয়টা এমন এক সময় উত্থাপিত হল যখন ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দুর্নীতির কারণে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সিদ্দিকী নাজমুলে আলম হচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এদিকে বাংলাদেশেও আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠন যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি আর ক্যাসিনোর মত অপরাধের অভিযোগে ধরপাকড় চলছে। বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের সাফল্য এবং অর্জন ম্লান হয়ে যায় মূলত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের দৌরাত্মের কাছে।

গো নিউজ২৪/আই

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর